‘দুই সিটিতেই এডিসের লার্ভা, ডেঙ্গু-করোনায় মৃত্যুর মিছিলের শঙ্কা’

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এডিস মশার লার্ভার ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক উপস্থিতি’ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয়টি জানানো হয় আজ রোববার।

এদিন ভার্চুয়াল এক বিফ্রিংয়ে অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে চালানো জরিপ এরইমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তাতে দুই সিটির অনেকগুলো ওয়ার্ডে এডিস মশার লাভার ঘনত্ব ও উপস্থিতি অনেক বেশি পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৩২ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি লার্ভা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১৩, ৩১, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে লার্ভার ঘনত্ব অনেক বেশি।

ঢাকা দক্ষিণের সবচেয়ে বেশি এডিস লার্ভা পাওয়া গেছে মালিবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, মিন্টু রোড, বেইলী রোড, কাকরাইল, সিদ্দিক বাজার, শাঁখারীবাজার, আরকে মিশন রোড, অভয় দাশ লেন ও মিল ব্যারাক এলাকায়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, দুই সিটির এসব এলাকায় থাকা প্লাস্টিকের পাত্র, পানির ট্যাঙ্ক, ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবন ও লিফটের গর্তে লার্ভার উপস্থিতি আশঙ্কাজনক। সময়ের ব্যবধানে লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা তৈরি হবে, যা ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ বিস্তারে ভূমিকা রাখবে।

এ থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে নিজ বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ২০১৯ সালের মতো চলমান করোনাকালেও ডেঙ্গু হলে মৃত্যুর মিছিল বাড়ার আশঙ্কা থাকবে।

এরইমধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, জ্বর হলে চিকিৎসা বাসা থেকে নয়, হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করবেন।

এ ছাড়া করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, সামনে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে। তবে তা যা-ই হোক, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রায় কাছাকাছি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মশার উপদ্রব কমাতে চলতি মৌসুমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১০টি জলাশয়ে ১০ হাজার ব্যাঙের পোনা ছাড়া হয়। পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের পর কর্মকর্তারা জানান, ব্যাঙাচি দিয়ে মশা মারার অভিনব কৌশল নেয়া হয়েছে।

এর আগে মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার বিভিন্ন জলাশয়ে ছাড়া হয়েছিল গাপ্পি মাছ, হাঁস ও তেলাপিয়া মাছ ইত্যাদি। সেসব উদ্যোগ সফল হয়েছে, তেমনটা শোনা যায়নি কখনো।