বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দখলদারি ছেড়ে দিতে হবে ইসরায়েলকে

সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিন দখল করে ১৯৪৮ সালে জন্ম নেয় ইসরায়েল রাষ্ট্র। তখন থেকেই ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে আসছে ‘অবৈধ’ রাষ্ট্রটি। ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের কর্ণধার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে হুংকার দিয়েছিলেন, ‘অন্যায়ভাবে দখল করা ভূখণ্ড ইসরায়েলকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে।’

ওই বছরের ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে পাকিস্তানের রাজধানীতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রণ পান বঙ্গবন্ধুও। অধিবেশনে অন্যান্য মুসলিম নেতাদের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ভাষণ দেন। একজন সত্যিকারের মুসলিম নেতার ভাষণ কেমন হতে পারে, তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু।

অল্প কথায় মুসলিম নেতাদের করণীয় এবং মুসলিমদের সমস্যা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ভাষণের শুরুতে তিনি বলেছেন, মুসলিম নেতাদের এক যোগে কাজ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে জেরুজালেম। এ সমস্যা সমাধানে মুসলিমদের এগিয়ে আসতে হবে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অন্যায়ভাবে ইসরায়েল আরব ভূখণ্ড দখল করেছে। অবশ্যই তাকে এই দখলদারিত্ব ছাড়তে হবে। সংক্ষিপ্ত ওই ভাষণে ফিলিস্তিনের নিহত মুসলিম শহিদদের উদ্দেশে ‍তিনি বলেন, জেরুজালেমের ওপর আমাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যুদ্ধে অকুতোভয় বীর শহিদদের আমরা সালাম জানাই।

ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ এই আহ্বান জানিয়ে মুসলিম নেতাদের বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মানবজাতি
কখনো হয়নি। পৃথিবীর দিকে দিকে অস্ত্রের মহড়া বাজছে। এর সবচেয়ে নির্মম শিকার আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা। এ অবস্থায় তাদের পাশে আমাদের শক্তি, সামর্থ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে।

তথ্য সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪