'বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সে বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় বসে মিলাদ পড়তে হয়েছে।' আজ পহেলা আগস্ট সোমবার বিকালে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে আয়োজিত কৃষকলীগের এক আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, 'আমি দেশে ফিরে আসার পরে আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ বাড়িতেই আমার বাবা-মাসহ পুরো পরিবার মারা গেছেন। আমি মিলাদ পড়বো, জিয়াউর রহমান সেখানে যেতে দেয়নি। রাস্তার ওপর বসেই শত বাধা অতিক্রম করে মিলাদ পড়তে হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'তড়িঘড়ি করে সেই রক্তাক্ত বাড়ি আমাকে হস্তান্তর করেছিলেন। আইনজীবীর মাধ্যমে বাড়ি বুঝে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সেটা করা হয়নি। জিয়াউর রহমান কেবল হত্যার ষড়যন্ত্রই করেনি, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে মৃত স্বজনদের চরিত্র হননেরও চেষ্টা করেছেন।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'বাড়িটি হস্তান্তরের পর নানা অপপ্রচার চালানো হয়। সে সময় ৪০ দিন ধরে টেলিভিশনে দেখানো হয় ওই বাড়িতে হীরা, মুক্তা, টাকা পাওয়া গেছে। আর জিয়া একটি ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া জামা রেখে গেছে।' তিনি অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর বন্ধ করা এক শত টাকার নোট ট্রাংক ভরে এনে সেই বাড়িতে দেখানো হয়েছিল।'

এসব অপপ্রচার 'বাংলার' মানুষ বিশ্বাস করেনি বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'কৃত্রিমভাবে চরিত্র তৈরি করে কখনো সত্য চাপা দেওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধুর স্থান এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।'

বাংলাদেশের স্বাধীনতা তথা বিজয়ের ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম জানতেই পারেনি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ জনগণ শুনতে পেরেছে। স্বাধীনতা সঠিক ইতিহাস জেনেছে সাধারণ মানুষ। বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না।' জঙ্গিবাদ নতুন ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই জঙ্গিবাদের গোঁড়ায় রয়েছে একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্তরাধিকারীরাই। তবে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না।'

আপনি আরো পড়তে পারেন

১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ১৮ আগস্ট

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো চট্টগ্রাম

গুলশান হামলার এক মাস: সারা দেশে সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন

ছাত্রলীগ নেতা নিহত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা