ত্রাণমন্ত্রী: বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর উঁচু করে দেয়া হবে

বন্যার পানি নেমে গেলে ৪০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি উঁচু করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার ফুলবাড়ি মাঠে বানভাসী মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজে হাত দিবে। এ সময় তিনি জানান, আগামীতে বন্যা থেকে রেহাই পেতে আরও ২০০ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বন্যার ত্রাণ সামগ্রী সুষ্ঠভাবে বিতরণের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী জানান, গাইবান্ধা জেলায় এ পর্যন্ত ১১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। নদীর পানি এবং বৃষ্টির পানি বন্যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। প্রতিদিন গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন লাখো মানুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।

০১ আগস্ট সোমবার ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা ও টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেছে। এই দু জায়গায় বাঁধ ভেঙে প্রায় ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যার পানিতে পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী পৌছানোর চেষ্টা করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় সেটা অনেক কম।

জানা যায়, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১৫টি গ্রাম। এলাকাবাসী জানান, রোববার গভীর রাতে বেড়িবাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে যায়। এরপর বানের পানিকে আর আটকানো যায়নি। ফলে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, বাঁধ ভাঙার পর ক্ষতিগ্রস্তরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ফসলসহ বাড়িঘরের নানা আসবাবপত্র ভেসে গেছে পানিতে। খাবার সংকটে ভুগছেন আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। জেলার পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে সোমবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার ঝিনাই ও বৈরান নদীতে স্বাভাবিকের বেশি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বানের পানিতে মুশুদ্দি, পাইস্কা, বলিভদ্র, ধোপাখালি ও হাদিরা ইউনিয়নের গ্রামবাসী বিপদে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, ফসলের জমিসহ দুই শতাধিক মাছের ঘের।

আপনি আরও পড়তে পারেন

‘মাস্টার মাইন্ডদের’ ধরিয়ে দিলে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার

পিস স্কুল বন্ধের নির্দেশ

নজরুল ইসলাম খান: সন্ত্রাসীদের হত্যা করে তথ্যের উৎস নষ্ট করছে সরকার

গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হচ্ছে মওদুদকে!

রাজশাহীতে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, একজন নিহত