শান্তি সূচকে এক লাফে বাংলাদেশের ৭ ধাপ অগ্রগতি

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে (জিপিআই) গতবারের চেয়ে এবার এক লাফে ৭ ধাপ এগিয়ে ৯১তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এদেশ। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত চলতি বছরের সূচকে এমনটা জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি)।

বাংলাদেশের পতাকা হাতে কিশোর, ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত বছরের বিশ্ব শান্তির সূচকে ২ দশমিক ১০২ নিয়ে ৯৭তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। এ বছর ২ দশমিক ০৬৮ স্কোর নিয়ে ৯১তম স্থানে অবস্থান করছে দেশটি।

আইইপির শান্তি সূচকে চলতি বছর শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশের পেছনে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটি এবার ১৯ ধাপ পিছিয়ে ৯৫তম অবস্থানে রয়েছে, যা লঙ্কানদের দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ স্থানে নিয়ে গেছে।

বৈশ্বিক শান্তি সূচক-২০২১

গোলোবারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ১৩৫তম স্থানে উঠে এসেছে ভারত, যা দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম স্থান দিয়েছে দেশটিকে। একইভাবে দুই ধাপ এগিয়ে পাকিস্তান অবস্থান করছে ১৫০ নম্বরে, যা এই অঞ্চলে ষষ্ঠ।

দক্ষিণ এশিয়ায় তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভূটান (২২তম), তার পরের দেশটি নেপাল (৮৫তম)। এই সূচকে টানা চতুর্থবারের মতো তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি ১৬৩তম স্থানে রয়েছে।

শান্তি সূচকে বলা হয়, এই অঞ্চলে সহিংসতার ভয়ের হার কম রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতে। দেশ দুটির যথাক্রমে ২৫ শতাংশ ও ২৩ শতাংশ মানুষ সহিংস অপরাধ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে এই হারটা রয়েছে ৫৩ শতাংশ।

ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি)

আইইপির এই সূচক প্রকাশের সময় থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড। শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে অন্য চারটি হলো যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া।

ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর অর্ধেকই ইউরোপের। আর সবচেয়ে কম শান্তিপূর্ণ দেশের প্রত্যেক পাঁচটির তিনটির অবস্থান মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফিকায়।

প্রতি বছর ১৬৩টি স্বাধীন দেশ ও ভূখণ্ডের সংশ্লিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শান্তি সূচক প্রকাশ করে আইইপি। জীবন-যাপনের নিরাপত্তা, সুরক্ষা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সমাজ গঠনের ওপর স্কোর দেয়া হয়।

এবার সহিংসতার অনুপস্থিতি বা ভয়সহ তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে সূচক তৈরি করা হয়। বাকি দুটি হলো- সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, চলমান সংঘাত ও সামরিকায়ন।