৭ জেলায় ভেড়ানোও যাবে না নৌযান

করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর অংশ হিসেবে লকডাউন ঘোষিত সাত জেলায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ তো থাকবেই, একই সঙ্গে অন্য গন্তব্য থেকে আসা নৌযান এসব জেলায় ভেড়ানোও যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৭ জেলায় ভেড়ানোও যাবে না নৌযান, ফাইল ছবি

এর আগে আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে দেশের আগামী ৩০ জুন (বুধবার) রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এই সময়ে জেলাগুলো ব্লকড থাকবে। কেউ প্রবেশ বা বের হতে পারবে না। জেলাগুলো হলো- গাজীপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ।

মন্ত্রিপরিষদের এই ঘোষণার পর সোমবার সন্ধ্যায় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলেছে, অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারসহ অন্যান্য স্টাফ, যাত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৭টি জেলায় সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী ও গোপলাগঞ্জ জেলায় জনসাধারণের চলাচলসহ সার্বিক কার্যাবলী বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৭ জেলা লকডাউন, ফাইল ছবি

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনার আলোকে এসব জেলার নৌপথে অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, নড়িয়া, ঢাকা-মাদারীপুর, ঢাকা-মিরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ, শিমুলিয়া (মুন্সিগঞ্জ)-বাংলাবাজার (মাদারীপুর), আরিচা (মানিকগঞ্জ)-কাজিরহাট, মাঝিকান্দি (শরীয়তপুর), পাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)-দৌলতদিয়া (রাজবাড়ী) এবং জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান তথা লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য নৌযান মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।

একই সঙ্গে উল্লিখিত নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর লঞ্চঘাট ছাড়া দেশের যেকোনো স্থান থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী নৌযান পথিমধ্যে দৌলতদিয়া, আরিচা, মাদারীপুর, পাটুরিয়া, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মিরকাদিম লঞ্চঘাটে ভিড়তে পারবে না। তবে পণ্য পরিবহন এবং জরুরিসেবা প্রদানকারী নৌযান এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।