বিশ্বকে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

করোনার টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার তিন দিনব্যাপী ৯ম মস্কো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফাইল ছবি

টিকার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ঢাকা সংযুক্ত আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা উৎপাদনের চেইনে বাংলাদেশকে নেয়া হলে বিশ্ববাসীকে সহায়তা দিতে পারব। এ সময় যেকোনো মূল্যে দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকাদানের আওতায় আনার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, সম্ভাব্য সকল উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে সরকার।

করোনা মহামারি সারা বিশ্বে লাখ লাখ প্রাণহানির পাশাপাশি বিধ্বস্ত করে দিয়েছে অর্থনীতি। সবার জনস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, বলেন শেখ হাসিনা।

ঢাকায় অনুমোদন পাওয়া রুশ টিকা

কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বিষেয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গারকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ৪ বছর ধরে এখানে থাকায় তারা বাংলাদেশসহ গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর দীর্ঘসময় ধরে আশ্রয়স্থল হতে পারে না এদেশ। মাতৃভূমিতে তাদের সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন।

একটি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংঘাত আন্তঃদেশীয় নিরাপত্তার জন্য সমস্যা তৈরি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সামরিক হুমকি, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ, গণঅভিবাসন, পরিবেশের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য অপ্রচলিত নিরাপত্তা হুমকি।

৯ম মস্কো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলন

এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র, সাইবার অপরাধ, আঞ্চলিক কোন্দল ও পরিবেশ বিপর্যয়, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

সন্ত্রাস ও চরমপন্থার ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরে তিনি আশা করেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। এ সময় সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির প্রশংসা করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।