শনাক্তের হার ২৫ ছাড়ালো, আরো ১১৫ মৃত্যু

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৫০৩। একই সময়ে দেশে আরো ৮ হাজার ৮২২ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮। 

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ২৬২টি। এর মধ্যে আরো ৮ হাজার ৮২২ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৬৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭টি। 

বাংলাদেশে করোনার নমুনা সংগ্রহ, ফাইল ছবি

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এটি দেশে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ১১৯ জন, যা ছিল গত ২৭ জুন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ হাজার ৫০৩ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী। এর মধ্যে ৯ জন বাড়িতে এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৪৫০ জন। এ পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২৩, রাজশাহীতে ২৩, খুলনায় ৩০, বরিশালে ২, সিলেটে ৩, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।