বিজিএমইএ: শ্রমিকরা গ্রামে থাকলে ‘টেক কেয়ার’ করা যায় না

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শ্রমিকরা গ্রামে থাকলে ‘টেক কেয়ার’ করা যায় না। তাছাড়া অর্থনৈতিক বিষয়াদির পাশাপাশি কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়ার চিন্তাও মাথায় ছিল।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

তিনি বলেন, সবকিছু ভেবে-চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কর্মীরা যদি ঢাকা বা কারখানার আশপাশে থাকে তাহলে তাদের মেডিকেল বা অন্যান্য ব্যাপারে ‘টেক কেয়ার’ করতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু তারা গ্রামে থাকলে সেটা করা যায় না।

বিজেএমইএ সভাপতি আরো বলেন, ঈদের আগে কারখানাগুলো টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। ঢাকায় থাকলে কর্মীদের দ্রুত টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে, তাই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ের সাথে এটিও উদ্দেশ্য ছিল।

ডা. আ ফ ম রুহুল হক ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

বেসরকারি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘আমজনতা’র সরাসরি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে গতকাল রোববার রাতে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। ‘কম্প্রোমাইজড কঠোরতা’ শিরোনামে এদিনের আমজনতা অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান অংশ নেন।

এদিন অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ছাড়া বাকি সকল আলোচকই এভাবে তড়িঘড়ি করে শ্রমিকদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ায় এবং কাজে ফেরানোর সমালোচনা করেন।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক বলেন, পরিকল্পনাটি যারা করেছেন অন্তত একদিন আগে যদি তারা ভাবতেন যে, কারখানা খুলে দেওয়ার কথা শুনলে সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ঢাকার দিকে ছুটবে এবং তাদের কর্মস্থলে পৌঁছার জন্য যদি আগেই একটা ব্যবস্থা করতেন, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভুল পথে হাঁটছে সরকার, এমনকি নিজের রাজনৈতিক সহকর্মীদের থেকেও বিচ্ছিন্ন সরকার। যদি তাই না হবে, তাহলে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারতো না। ব্যক্তিগতভাবে মানুষের ভোগান্তি দেখে প্রধানমন্ত্রী হয়তো বিব্রত হচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমলাদের দ্বারা প্রভাবিত। সরকারের অংশ আমরা সবাই, তাই আশা করি, আমাদের পরামর্শগুলোও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিবেচনায় রাখবেন।

অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, মহামারিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মোকাবেলা করতে হবে। উচিত ছিল গবেষণা করে লকডাউনের বিকল্প বের করা। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গিয়ে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িতদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কোনো মানে হয় না।