তিন দিনের ‘ম্যারাথন বৈঠক’, যে সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

বিএনপির টানা তিন দিনের ‘ম্যারাথন বৈঠক’ শেষ হয়েছে। এতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির শীর্ষ নেতারা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আলাদাভাবে বৈঠকে অংশ নেন এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। তিন দিনের বৈঠক শেষ হয় বৃহস্পতিবার।

বিএনপির বৈঠকের খণ্ডচিত্র

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামীতে দলটির সম্ভাব্য রাজনৈতিক কৌশল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি এবং ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে দফায় দফায় করা বৈঠকে খোলামেলা আলোচনা হয়। এসব বৈঠকের প্রতিটিতে দলটির শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান প্রমুখ।

বৈঠকে সবচেয়ে বেশি নেতা একমত হয়েছেন আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার প্রশ্নে। তারা ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরিধি আরো বাড়িয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন। আরো কিছু বিষয়ে মত-দ্বিমত এসেছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি।

বিএনপির দলীয় পতাকা

জানা গেছে, প্রথম দিনের বৈঠকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিএনপির ভূমিকার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে গেল নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বেশ কয়েকজন নেতা। সবশেষ বাস্তবতার আলোকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেন অনেক নেতা।

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, শেষ দিনের বৈঠকে দলীয় নেতাদের ইস্পাত সমান ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আরো সোচ্চার হতে তাগিদ দেয়া হয়েছে বৈঠকে।

এ বিষয়ে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বন্দি করার পর প্রথমবারের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তিন দিনের এসব বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। এসব মতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।