সরকারকে ইসকন: হিন্দুদের কারা দেশছাড়া করতে চায়

বিভিন্ন ধরনের অজুহাতে হামলা চালিয়ে হিন্দুদের কারা দেশছাড়া করতে চায়, সেটি সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে। আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইসকনের মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি করা হয়। সেইসঙ্গে পূজামণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দুবাড়িতে হামলা ও হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়েছে।

ইসকনের সমাবেশ

ইসকন নেতারা বলেন, ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার পর নোয়াখালীর চৌমুহনীসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দুবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ তো হিন্দু সম্প্রদায়েরও, তা হলে এই হামলা কেন?

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসকনের সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ বলেন, হিন্দুরা দেশ ছাড়তে চায় না, তাদের শান্তিতে বসবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টিকরীদের শনাক্ত করতে হবে।

ইসকনের লোগো

সভায় ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটি করা না গেলে এমন হামলা চলতেই থাকবে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব।

এ সময় ইসকনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জগদ্‌গুরু দাস ব্রহ্মচারী, বিমলা প্রসাদ দাস, শুভ নিতাই দাস ব্রহ্মচারী, সুমুখ গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন ফুডের রূপানুগ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, জাগ্রত ছাত্রসমাজের দ্বীজমনি গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নির্মল চ্যাটার্জী ও বাসুদেব ভক্ত ফাউন্ডেশনের সুমন গোস্বামী পুলক প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যান ইসকন ভক্তরা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে সাম্প্রতিক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।