রাজশাহীতেও বন্যার পানি, কুষ্টিয়ায় বেড়েছে নদী ভাঙ্গন

ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার কারনে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসাথে জেলাটিতে নদী ভাঙনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া রাজশাহী জেলা নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার দুপুরে রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় ছিলো বলে জানিয়েছে স্থানীয় মানুষজন। যে কোনো মুহূর্তে পদ্মার পানি উপচে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে রোববার সকালে সংগ্রহ করা আলামত দেখে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

গত একদিনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেড়ামারা উপজেলার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামের সব বাড়িতেই বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। এছাড়া পানির তোড়ে অনেক বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে।

এদিকে নদী ভাঙ্গনে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ছলেমান নগর এবং ঢাকাপাড়ার অধিকাংশ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার পানির চাপে রায়টা-মহিষকুণ্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানা গেছে। যে কোনো সময় এই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতোমধ্যে ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তিমনি চাকমা জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে অথবা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

পদ্মার পানিতে রাজশাহীর পবা উপজেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের তিনটি চর, গোদাগাড়ীর চর, বাঘার চক, রাজাপুর ইউনিয়ন পুরোটাই ডুবে গেছে।

উল্লেখ্য, ফারাক্কা বাঁধের ১০৪টি গেটের মধ্যে ৯৫টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, বিহার রাজ্যের বন্যার পানি কমার কোনো অগ্রগতি দেখা না গেলে বাঁধের আরো গেট খুলে দেয়া হতে পারে।

ফারাক্কা বাঁধের এই গেটগুলো খুলে দেয়ার ফলে প্রায় ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে গিয়ে বিহার প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। রাজ্যটিতে প্রায় ১০ লাখ লোক পানিবন্দী অবস্থায় আছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

হান্নান শাহ: রামপাল বন্ধ করতে মাঠে নামবে বিএনপি

অন্তিম নিস্তব্ধতায় শহীদ কাদরী

দ্রুত জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের আহ্বান হানিফের

ত্রাণমন্ত্রী: ফারাক্কা এখন ভারতেরই মরণফাঁদ

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত