‘বিদেশে বসেই রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার নিষ্পত্তি করতে পারবেন’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষা চাইলে রাষ্ট্রপতি বিদেশে বসেই তা নিষ্পত্তি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদেশে থাকলে রাষ্ট্রপতি ফাইল দেখতে পারবেন না, এ রকম কোনো আইন নাই। যদি তারা ক্ষমা চেয়ে দরখাস্ত করে, তখন আইন অনুযায়ী সেটার ত্বরিত নিষ্পত্তি করা হবে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এখন লন্ডনে আছেন। আগামি ৪ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।

এর আগে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রাখে ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ মীর কাসেমের ফাঁসি বহালের রায় দেন।

এর মাধ্যমে মীর কাসেমের আইনী লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটলো। রিভিউয়ের আবেদন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না তার কাছে। মীর কাসেমের রিভিউয়ের আবেদনের পরই হাইকোর্ট বেঞ্চ তার ফাঁসির আদেশ বহাল রাখলেন।

এখন মীর কাসেমের সামনে ছাড়া পাওয়ার একটিই উপায় আছে। সেটা হলো রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। সেটা যদি তিনি না চান কিংবা চাইলেও রাষ্ট্রপতি যদি তা গ্রহণ না করেন, তবে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনী বাধা থাকবে না।

এর আগে গত রোববার মীর কাসেমের রিভিউ শুনানি শেষ হয়। আদালত রায়ের জন্য ৩০ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেন।

আজকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কর্ম তালিকায় এক নম্বরে ছিলো মীর কাসেমের রায়। সকাল সকাল এই জন্য আদালত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

এর আগে গত ছয় জুন আপিল শুনানি শেষ হয় এবং ১৯ জুন সেটা আবার বিবেচনা করার আবেদন করেন মীর কাসেম। সে বিষয়ে গত ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু হয়।

উল্লেখ্য, মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে আটটি অভিযোগের মধ্যে দুটির বিচারে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বাকি ছয়টিতে বিভিন্ন কারাভোগের শাস্তি দেয়া হয় তাকে। এর দুই বছর আগে ২০১২ সালের জুন মাসে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

পিএসসি: বিসিএস পরীক্ষায় ঘড়ি নিষিদ্ধ

মীর কাশেম আলীর রিভিউর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

সৌদি আরব যেতে লাগবে ১ লাখ ৬৫ হাজার

নিখোঁজের ১৩ মাস পর যুবলীগ নেতার কঙ্কাল উদ্ধার

'মীর কাসেমের ১৪ বার ফাঁসি হওয়া উচিত'