বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায়ও শীর্ষস্থানে সিয়াম!

একটি-দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই যেখানে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা, সেখানে মেফতাউল আলম সিয়ামের অবস্থা ছিল ভিন্ন। সেরা কয়েকটি ভার্সিটির শীর্ষ মেধা তালিকাতে স্থান পেয়েও স্বস্তি ছিল না তার। বুয়েটের ফলাফলটা কেমন হবে, তা নিয়ে ছিল দুশ্চিন্তা। দেখা গেল, সেখানেও সিয়াম প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।

মেফতাউল আলম সিয়াম

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা মেফতাউল আলম সিয়াম এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন। দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছেন প্রথম। আর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৯তম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এত সব পরীক্ষায় তাক লাগানো ফল করে সবার নজর কাড়লেও তার নজর ছিল বুয়েটের দিকে। ভর্তি পরীক্ষার আগে তিনি বলেছিলেন, আগে ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে পদার্থবিজ্ঞানের একজন শিক্ষকের কথায় গবেষণার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাই যেখানেই পড়ি, আগামীতে একজন ভালো গবেষক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।

মা-বাবার সাথে মেফতাউল আলম সিয়াম

স্বাভাবিকভাবেই গবেষণার এই লক্ষ্যে তার প্রধান টার্গেট ছিল বুয়েট। সেই বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষাতেও তিনি শীর্ষস্থান লাভ করেছেন। সিয়াম বলেন, ঢাবি আর আইইউটিতে প্রথম হলেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হতে পারব কি-না, সেটি নিয়ে চিন্তা ছিল। তবে আমি সবসময় আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছিলাম।

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হতে পেরে উচ্ছ্বসিত সিয়াম বলেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে পড়তে চান তিনি। এ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে তার।

বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকার বাসিন্দা সিয়ামের বাবা খোরশেদ আলম অবসরপ্রাপ্ত এনজিও কর্মকর্তা, মা মুনজিলা আলম গৃহিণী। এসএসসি ও এইচএসসি-দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পাওয়া সিয়াম জানান, তার সব সাফল্যের পেছনে মায়ের পরিশ্রম আর বাবার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। মা-বাবা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময় স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে চিকিৎসক-প্রকৌশলী হতেই হবে, পরিবার থেকে এমন চাপ কোনো সময়েই ছিল না।