কণ্ঠশিল্পী আসিফের বিচার শুরু

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এতে করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলায় তার বিচার শুরু হলো। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালত আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, এ আদেশ দেন।

আদালতে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর

সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম।

জানা যায়, এদিন আসিফ আকবরের আইনজীবী মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে, অব্যাহতির বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন ২০১৮ সালের ৪ জুন তেজগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাদী ২০১৮ সালের ১ জুন দিবাগত রাত ৯টার দিকে জানতে পারেন যে, কারো অনুমতি ছাড়াই গীতিকার, সুরকার ও বিভিন্ন শিল্পীর ৬১৭টি গান বিক্রি করেছেন আসিফ আকবর। পরে বিভিন্নভাবে বাদী আরো জানতে পারেন যে, নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে আসিফ আকবর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেছেন।

অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে শফিক তুহিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে অশালীন মন্তব্য করেন আসিফ আকবর। পরের দিন অর্থাৎ একই বছরের ২ জুন দিবাগত রাতে ফেসবুক লাইভে এসে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন আসিফ আকবর। এমনকি ফেসবুক লাইভে ভক্তদের উদ্দেশ করে কণ্ঠশিল্পী আসিফ বলেন, ‘শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন।’

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৪ জুন সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরো ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন। তেজগাঁও থানায় মামলাটির নম্বর-১৫ (০৬)১৮।

মামলার পর ওই বছরের ৫ জুন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আসিফ আকবরকে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির একটি দল। ওই মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।