তিন বছরের বেশি সময় বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন আর্ল আর মিলার। আজ শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে তার ঘটনাবহুল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। কিন্তু পুরো মেয়াদে উভয় দেশে সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকলেও শেষ সময়ে নিষেধাজ্ঞার উত্তাপ ছড়িয়ে গেছেন তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার, ফাইল ছবি
মিলারের বিদায়ের মাস দেড়েক আগে গেলো বছরের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশ। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ ৭ কর্মকর্তার ওপর এমন পদক্ষেপ নেয় মার্কিন সরকার।
বিদায়ের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিলার।। তবে করোনার কারণে সাক্ষাৎ পাননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ফাইল ছবি
এদিকে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ‘বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করাকে জীবনের বড় সম্মান ও আনন্দের’ বলে বর্ণনা করেছেন মিলার। ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে এখানকার ‘জনগণের উষ্ণতা ও সৌজন্য’ সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বাংলাদেশিদের ‘অতিথিপরায়ণ, চিন্তাশীল ও অমায়িক’ আখ্যায়িত করে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশে সম্পর্ক শক্তিশালী, যা আগামীতে আরো শক্তিশালী হবে। এ ছাড়া এদেশের ‘রিকশার রঙ ও চালকদের মুখের কথা’ সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন জীবনের বেশিরভাগ সময় অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা পিটার হাস। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তার ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।