করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ করেছে মহামারি সংক্রান্ত সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে রাজধানীর পূর্বাচলে চলমান আন্তর্জাতিক এই মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্য মেলায় উপচে পড়া ভিড়, ফাইল ছবি
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাণিজ্য মেলা চলছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এখনো এ মেলা বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
গত ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা শেষ হতে আর মাত্র ৫ দিন বাকি আছে। তার মধ্যেই আজ মেলাটি বন্ধের সুপারিশ করার কথা জানান জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। কমিটির পক্ষ থেকে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আরো কঠোর হতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
টিপু মুনশি, ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। এমতাবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত ১০ জানুয়ারি প্রথম ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করা হয়, পরে আরো কিছু নির্দেশনা আসে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকেও ৪ দফা সুপারিশ করা হয়।
এখন পর্যন্ত যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো— মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানা। অর্ধেক কর্মী দিয়ে অফিস পরিচালনা। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় তথা যেকোনো ধরনের জমায়েতে ১০০ জনের বেশি উপস্থিত না হওয়া। আবার যারা উপস্থিত হবেন, তাদের টিকা নেওয়ার সনদ এবং পিসিআর টেস্টে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজ ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, ব্যাংকের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেও বাণিজ্য মেলা চালু থাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে সর্বত্র।