গত এক বছরে একাধিকবার বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এরপরও চলতি মাসের শুরু থেকেই ভোজ্যতেল বিশেষকরে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে ব্যবসায়ীরা। তাতে রাজি হননি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল থাকবে, ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ওই তারিখের পর দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হবে।
ভোজ্যতেল
কিন্তু মন্ত্রীর এই নির্দেশনা অমান্য করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে বোতলের সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। পাম ওয়েলের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
সয়াবিন তেলের নতুন আসা এক লিটারের বোতলের গায়ে দাম লেখা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এর দাম ছিল ১৬০ টাকা। খোলা তেল বিক্রি হতো ১৫০ টাকায়, এখন সেটা ১৫৮ থেকে ১৬০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা এর কোনো কারণ বলতে পারছেন না। তাদের বক্তব্য, আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই সেভাবেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আপাতত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কোনো উপযুক্ত কারণ নেই। বিষয়টি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর আমরা পর্যালোচনা করবো।