ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। আজ সোমবার (১৬ মে) এই আবেদন করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আগামীকাল মঙ্গলবার আবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়।
এর আগে, সব মামলায় জামিন হওয়ায় গত ১১ মে বিকেলে কারাগার থেকে মুক্ত হন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তিন শর্তে সম্রাটের জামিনের আদেশ দেওয়া হয়। শর্ত তিনটি হচ্ছে- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত দিনে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।
দুদক
জামিন পাওয়ার আগে থেকেই অসুস্থতার কারণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সম্রাট। জামিনের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মোতায়েন থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনও হাসপাতালেই আছেন তিনি। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান আজ সোমবার বলেন, সম্রাট সুস্থ নন। কিছু ওষুধ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আরও ৩-৪ দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। তবে স্থায়ী আরোগ্যের জন্য তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা ছিল। এর আগে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। সবশেষ গত ১১ মে জামিন পেলেন দুদকের দায়ের করা মামলায়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পরেই র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এক পর্যায়ে দলীয় পদ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।