পদ্মা সেতুর আলোচনা সামনে আসলে যেন অবধারিতভাবেই চলে আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম। তিনি এই সেতুর বিরোধিতা করেছেন, সেতুটি যেন না হতে পারে সেই তদবির করেছেন- এমনটা হরহামেশাই বলা হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে একাধিকবার ড. ইউনূসের নাম উচ্চারণ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অবশেষে মুখ খুলেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। গতকাল বুধবার রাতে ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করতে তিনি হিলারি ক্লিনটনকে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এর জবাবে বলা হয়েছে, এটা স্রেফ কল্পনাপ্রসূত।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংক যেন পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়, সেজন্য একজন সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস। এর জবাবে ইউনূস সেন্টার জানায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন কখনো দুজন মানুষের দেখা করতে যাওয়া বা খেয়ালখুশির ওপর নির্ভর করে না। এগুলো নিতান্তই কাল্পনিক।
ড. ইউনূস একটি ফাউন্ডেশনকে ৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়েছেন এবং ৬ কোটি টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিয়েছেন- এমন অভিযোগের জবাবে বলা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণরূপে মানহানিকর অভিযোগ। সরকার অধ্যাপক ইউনূসের সব ধরনের লেনদেনের হিসাব সংগ্রহ করেছে। অথচ তারা এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।