আপনি পড়ছেন

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

dipu moni education ministerশিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

আজ শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃষ্ট সংকট পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষাবর্ষের ছুটি কমিয়ে শ্রেণি ঘণ্টা বাড়ানো হবে। তবে বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের দিক দিয়ে কোনো আপস করা হবে না।

যতটুকু না পড়ালে পরবর্তী ক্লাসে উঠা সম্ভব না হয় সেটিকে গুরুত্ব দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে কোটি কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা সম্ভব নয়। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

education ministry logo

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর সিলেবাসে বিভিন্ন ধরনের ছুটি থাকে। সেসব ছুটি বাতিল করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট এড়াতে চলতি বছর ও আগামী শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস থেকে ছুটি কমিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হবে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ইরাব সভাপতি মোসতাক আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।