আপনি পড়ছেন

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের জেলা পর্যায়ের ২৫ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

school openশিক্ষার্থী- ফাইল ছবি

জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে। তাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই কবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে চালু করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক জেলার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।

mnistry of praimary educationপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

আরো অনেক জেলার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল জেলার মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতমিনিময় শেষে তাদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা শেষে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলার মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। এসব শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রথম ধাপে জেলা পর্যায়ের এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

কারণ মফস্বল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়াশুনা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে এ জন্য রেডিও, টিভিসহ নানা মাধ্যমে শ্রেণিপাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এসব পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছে না মফস্বলের শিক্ষার্থীরা। তাই প্রথম ধাপে জেলা পর্যায়ের ২৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।