ফেসবুকে সরব তারা, খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ!
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঠিকই সরব আসামিরা।
আসামিদের কয়েকজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেছেন, তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তারা নির্দোষ। তাদের এবং তাদের সংগঠন ছাত্রলীগের নামে যেন অপপ্রচার চলানো না হয়।
কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন এবং এমসি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যেকের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।
এ মামলার ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম। আজ শনিাবর সকাল ১১টার দিকে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, তার পরিবার আছে। তিনি এ নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি যদি এ গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত হন, তহালে যেনো তাকে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হয়। তাও তার নামে এবং তার সংগঠন ছাত্রলীগের নামে যেনো কোনো প্রকার অপপ্রচার চলানো না হয়।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এ মামলার ৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমও। তিনি লেখেন, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। এই ঘটনার সঙ্গে যদি তার জড়িত থাকার প্রাণ মেলে তাহলে তাকে যেনো প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয় জানতে চাইলে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে তারা সর্বোচ্চ চেষ্ট করে যাচ্ছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে বেড়াতে যান দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার এক বাসিন্দা। কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদের জোর করে কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। এ সময় ওই স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পরে শাহপরাণ থানার পুলিশ খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বর্তমানে ওই তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল দিবাগত রাতেই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান এবং ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি। এ ছাড়া অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাছুম। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত এবং বাকি চার জন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর