আপনি পড়ছেন

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর কতদিন থাকবে এমন অচলাবস্থা, সেটা কেউ বলতে পারছে না। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অভিভাবকদের অনেকের ভাষ্য, যেহেতু ক্লাস-পরীক্ষা কিছু হচ্ছে না তাই ফি দেবো না। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বলা হচ্ছে, টাকা না পেলে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না!

mausi logo new

এই জটিলতার সমাধানকল্পে সম্প্রতি একটি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সেখানে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি নিতে পারবে। অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ধরনের ফি নিতে পারবে না। কিন্তু এই নির্দেশনার পরও জটিলতা কাটছে না।

অনেক অভিভাবক টিউশন ফিও দিতে রাজি না। ওদিকে অভিভাবকের অবস্থা খুব খারাপ হলে মানবিক বিবেচনায় টিউশন ফিতে ছাড় দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে মাউশির নির্দেশনায়, সেটা মানছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা কোনো কাজে আসছে না।

education ministry new

সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হামিদা আলী বলেন, মাউশির এমন নির্দেশনায় আমরা আপত্তি জানিয়েছি। নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে, তাতে করে স্কুল চালানো সম্ভব হবে না। যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দিতে হবে। তাই আমরা মনে করি, এই নির্দেশনা রিভিউ করে আমাদের জন্য আরেকটু ছাড় দিতে হবে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি।

ওদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলছেন, পড়াশোনা তো কিছুই করাচ্ছে না তাহলে বেতন দেবো কোন যুক্তিতে? অনলাইনে যে ক্লাসের কথা বলা হয়েছে সেটাও দু’দিন হওয়ার পর আর খোঁজ নেই। করোনাকালে আমাদের রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে।