আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় দেড় বছর হতে চললো, বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এত দীর্ঘ ছুটির কারণে শিক্ষা কার্যক্রমের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ার জোগাড়। তাই বিভিন্ন সময় সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এমন দাবি ‘অবান্তর’।

dipu moni education minister 5ডা. দীপু মনি

জাতীয় সংসদেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আলোচনা উঠেছে। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমন দাবির প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি কোনোভাবেই যোক্তিক হতে পারে না।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞানকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। সংক্রমণ শতকরা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, এটা হলো বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্ত। আমাদের দেশে এখন সংক্রমণের হার প্রায় ২৫ শতাংশ। কোনো কোনো জেলায় এটা ৫০ শতাংশ। এ অবস্থায় কীভাবে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি? এই মহান সংসদ থেকে জাতির জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

all educational institutions closes corona

এর আগে সম্প্রতি একটি বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খেলার কথা ভাবছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীও সংসদে তেমনটাই জানিয়েছেন। এমন বক্তব্যে অনিশ্চয়তার পারদ আরও ওপরে উঠেছে। কারণ শিক্ষার্থী তো দূরের কথা, শিক্ষক-কর্মচারীদেরকেই এখন পর্যন্ত টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দেশে এখন ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাও আবার চাহিদা অনুযায়ী সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ১৮ বছরের কম বয়সীদের কখন টিকা দেওয়া হবে, তার প্রাথমিক ধারণাও দেওয়া সম্ভব নয়। অভিভাবকরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সন্তানের শিক্ষাজীবনের ভবিষ্যত নিয়ে। তারা সরকারের কাছে একটা স্পষ্ট নির্দেশনা আশা করছেন।