ভিসির কার্যালয়সহ শাবিপ্রবির সব ভবনে তালা
- Details
- by শিক্ষা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, শাবিপ্রবি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসির, উপাচার্য, কার্যালয় এবং প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছেন। ভিসির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাবে, সেটা হতে পারে না। এ জন্য সব ভবনে তালা দিয়েছি আমরা। তবে যেহেতু এখন ভর্তি কার্যক্রম চলছে, তাই সে বিষয়টি বিবেচনা করে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেইনি আমরা।
এর আগে আজ সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, দুপুরে শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুক্তমঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন এক শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, উপাচার্যকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। এই ক্যাম্পাস থেকে তাকে চলে যেতে হবে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বরাবর চিঠি দিব আমরা। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং হল বা ক্যাম্পাস ছেড়ে কোনো শিক্ষার্থী যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, গতকালের ঘটনার সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে। ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই গতকাল রোববার, ১৬ জানুয়ারি, ভিসিকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
ওই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এদিন পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে এবং আজ সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
তবে এসবের প্রতিবাদে গতকাল রাত থেকেই উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় হল ত্যাগ না করে আজ সকাল থেকে শুরু হয় আন্দোলন। সেখানে ভিসির পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং এই পরিস্থিতির জন্য ভিসির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর