আপনি পড়ছেন

নিজেদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য বা ভিসি পদত্যাগ না করায় এবার আমরণ অনশন শুরু করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, শাবিপ্রবি, শিক্ষার্থীরা। ভিসির বাসভবনের সামনে আজ বুধবার, ১৯ জানুয়ারি, বিকেল ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

shahjalal university student hunger strikeআমরণ অনশনে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগের জন্য আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেলিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ২৪ জন শিক্ষার্থী এ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্র এবং ৯ জন ছাত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয় এবং প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা দেন। ভিসির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ওই উদ্যোগ নেন তারা।

এ ছাড়া একই দিন দুপুরে শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুক্তমঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, উপাচার্যকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। এই ক্যাম্পাস থেকে তাকে চলে যেতে হবে। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং হল বা ক্যাম্পাস ছেড়ে কোনো শিক্ষার্থী যাবে না বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই গত রোববার, ১৬ জানুয়ারি, ভিসিকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

ওই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে এবং পরদিন সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

তবে এসবের প্রতিবাদে রোববার দিবাগত রাত থেকেই উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় হল ত্যাগ না করে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় আন্দোলন। সেখানে ভিসির পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ভিসির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।