আপনি পড়ছেন

কাতারে ২০১৯ সালে বিভিন্ন কারণে ১৬৮ জন বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। যাদের অধিকাংশই সড়ক দুর্ঘটনা ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর ড. মুস্তাফিজুর রহমান।

168 bangladeshis died in qatar

তিনি বলেন, প্রবাস থেকে একজন শ্রমিকের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি দুঃখজনক। একজন প্রবাসীর মৃত্যুতে তার গোটা পরিবারের মৃত্যু হয়। দূতাবাসের কাছে যখন কোনো বাংলাদেশি মৃত্যুর সংবাদ আসে তখন দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আমরা চেষ্টা করি মরদেহ যেন দ্রুত বাংলাদেশে পৌঁছে যায়।

মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রসঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, যখন কেউ মারা যায় তখন কাতারের সরকারি হাসপাতাল থেকে একটি মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করতে হয়। সেইসঙ্গে পুলিশ রিপোর্ট প্রয়োজন হয়। এছাড়া কাতার সিআইডি থেকে একটি ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। সিআইডির ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগে। কারণ মৃত ব্যাক্তির নামে কোনো প্রকার মামলা কিংবা জীবিত থাকাকালীন কারও সঙ্গে লেনদেন নিয়ে কোনো অভিযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পর তারা ক্লিয়ারেন্স দেয়।

তিনি আরো বলেন, একজন শ্রমিকের মৃত্যুর পর তার সকল প্রকার কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে উপস্থিত হতে হয় তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তার কর্তৃপক্ষকে। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস সেসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এবং শ্রমিক যে কোম্পানিতে কাজ করতেন তার সকল পাওনা বুঝে নিয়ে মরদেহ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। অনেক সময় কোম্পানি কাতার সরকারের ব্ল্যাক লিস্টে থাকলে মরদেহ বাংলাদেশের পাঠানোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় দূতাবাস।

ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ বহনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চিঠি পাঠানো হয় দূতাবাস থেকে। এরপর মরদেহটি বাংলাদেশে পৌঁছালে বিমানবন্দরে ৩৫ হাজার টাকা লাশ দাফনের জন্য এবং পরবর্তী সময়ে তার পরিবারকে ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।