আপনি পড়ছেন

মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক রাঘব-বোয়ালের তথ্য উঠে আসছে। দেশটির বেশ কয়েকজন সাংসদ পাপুলের অন্যায় কাজে সহযোগিতা করেছেন, সঙ্গে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা তো আছেই। এ নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়ছে কুয়েত সরকার। এক পাপুলের এমন কর্মকাণ্ডে পুরো শ্রম রপ্তানিই বন্ধ করার বিষয়ে ভাবছে তারা।

mp papul

কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো শ্রম রপ্তানিকে ঢেলে সাজাতে চায় কুয়েত সরকার। কারণ অনিয়ম-দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। তাছাড়া বাইরের শ্রমিকদের জন্য অল্প কয়েকটি জায়গা খালি রেখে বাকি সব স্থানে নিজেদের জনশক্তিকে কাজে লাগাতে চায় কুয়েত।

এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে স্থানীয় যেসব কর্মকর্তার অনিয়মের খোঁজ পাওয়া গেছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনছে কুয়েত সরকার। এতে বিষয়টি আরো বড় আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। একইসাথে শ্রম আমদানির সঙ্গে জড়িত দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিচারের প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। এমনকি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।