আপনি পড়ছেন

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মধ্যেই ভারতের দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের সম্মেলনে (মারকাজ) অংশ নেয়া ৭৯ জন বাংলাদেশি মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল সোমবার জরিমানা প্রদানের শর্তে তাদের মুক্তির আদেশ দেন দেশটির আদালত। তবে অভিযোগ স্বীকার করে না নেওয়ায় ৩ বাংলাদেশিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

tablig jamat in dilliভারতের রাজধানী দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতে অংশ নেয় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাতে অংশ নেয়া ৩৬টি দেশের ৯৫৬ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা সংক্রান্ত নীতিমালা অমান্য কারার অভিযোগে মামলা দায়ের করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সে মামলায় গতকাল সোমবার দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বাংলাদেশিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশিমা মান্ডালা।

তিনি জানান, আদালতে ৭৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ স্বীকার করে নেন। পরে আদালতের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং মামলার বাদী পক্ষের সম্মতিতে এবং প্রত্যেককে ৫ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫ হাজার ৬০০ টাকা) করে জরিমানা প্রদানের শর্তে তাদের মুক্তির আদেশ দেন। তবে ৩ জন বাংলাদেশি নিজেদের দোষ স্বীকারে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। ওই তিনজন আদালতে তাদের বিচারের দাবি করেন।

coronaকরোনাভাইরাস- প্রতীকী ছবি

এদিন বাংলাদেশিদের মতো জরিমানার শর্তে মুক্তি পান কিরগিজস্তানের ৪২ জন নাগরিকও। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রোহিত গুলিয়া তাদের মুক্তির আদেশ দেন। তবে ৮ জন কিরগিজ নিজেদের দোষ স্বীকার না করায় তাদেরও মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এর আগে গত ১০ জুলাই এই ৮২ জন বাংলাদেশিকে ১০ হাজার রুপি মূল্যের ব্যক্তিগত মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে জামিন দেন দিল্লির আদালত।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে গত ১৩ থেকে ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতে অংশ নেয় বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশের নাগরিক। তারা টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ধর্মপ্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। পরে এপ্রিলের শুরুতে তামিলনাড়ুর ১৫টি এলাকা থেকে ৮২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মধ্যে ১২ জন নারীও ছিলেন।