আপনি পড়ছেন

অর্থ পাচার, মানব পাচার আর ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কুয়েতে আটক হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। রিমান্ডে নেওয়ার পর তিনি অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ইতোমধ্যে দেশটির অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিচার শেষে কী শাস্তি হতে পারে পাপুলের, তা নিয়ে অনেকের জিজ্ঞাসা রয়েছে।

al mp papul

কুয়েতের আইন অনুযায়ী, অর্থপাচার প্রমাণিত হলে পাপুলকে কারাগারে থাকতে হবে ৭ বছর। আর যদি মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে ১৫ বছর। আর যৌনকর্মী পাচারের বিষয়টা প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। পাপুলের ক্ষেত্রে প্রথম দুটি অভিযোগ অনেকটাই প্রমাণিত।

বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জানান- পাপুল যা করেছে তা অনেক বড় অন্যায়, কারণ এর সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তাতে করে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ভয়ংকর নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে বাইরের পৃথিবীতে। দেশের জন্য যেটা মোটেও ভালো নয়। তাই পাপুলের ব্যাপারে আমাদেরকেও কঠোর হতে হবে।

mp papul new

শফিক আহমেদ আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের কোনো বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। তাই প্রথমত কুয়েতে বিচার চলাকালীন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তার বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালতে রায় হয়ে যাওয়ার পরও এটা সম্ভব হবে না বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকার কারণে। তবে দুই দেশের কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে হয়তো তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।