আপনি পড়ছেন

অর্থ পাচার, মানব পাচার আর ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কুয়েতে আটক রয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। কুয়েত সরকার তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিচারিক শাস্তির পাশাপাশি তার প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে একাধিকবার। সম্প্রতি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তার প্রতিষ্ঠান ‘মারাফিয়া কুয়েতিয়া’ ৬৭ কোটি টাকার কাজ পেয়েছিল। কিন্তু কুয়েত সরকার তা বাতিল করে দিয়েছে।

mp papul

শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে চলমান মামলার রায় এখনো হয়নি। তবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কুয়েতের আদালত। এরপর তাকে আদালতে নেওয়া হলে আটকাদেশ আবারো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রায়ে কী শাস্তি হতে পারে সাংসদ পাপুলের, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কুয়েতের আইন অনুযায়ী, অর্থপাচার প্রমাণিত হলে পাপুলকে কারাগারে থাকতে হবে ৭ বছর। আর যদি মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে ১৫ বছর। আর যৌনকর্মী পাচারের বিষয়টা প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। পাপুলের ক্ষেত্রে প্রথম দুটি অভিযোগ অনেকটাই প্রমাণিত।

al mp papul

বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জানান- পাপুল যা করেছে তা অনেক বড় অন্যায়, কারণ এর সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তাতে করে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ভয়ংকর নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে বাইরের পৃথিবীতে। দেশের জন্য যেটা মোটেও ভালো নয়। তাই পাপুলের ব্যাপারে আমাদেরকেও কঠোর হতে হবে।