আপনি পড়ছেন

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ বাংলাদেশির মরদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সেখানকার স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

beirut explosion 010বিস্ফোরণের পর হতাহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে

আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ রাশেদ। বিস্ফোরণের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরো জানান, পাসপোর্টের তথ্য থেকে জানা গেছে, মৃত রাশেদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি লেবাননে শ্রমিকের কাজ করতেন।

আবদুল্লাহ আল মামুন আরো জানান, এ নিয়ে বৈরুত বন্দরে ভয়বহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ জনে। আহত হয়েছেন ১০৮ জন। তবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। যারা গুরুতর আহত তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দূতাবাস তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখছে।

beirut explosion 4বিস্ফোরণের পর হতাহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে

এর আগে গত মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি বৈরুত বন্দরে অবস্থান করা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বিজয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি রাসায়নিক গুদাম থেকে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিসহ অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।

বিস্ফোরণ দুটির তীব্রতা এতই বেশি ছিলো যে, সেখানে ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর তীব্রতা টের পাওয়া যায় বৈরুত শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের অপর প্রান্তে অবস্থিত সাইপ্রাসেও। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের স্থাপনাও। বিস্ফোরণের পর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।