আপনি পড়ছেন

এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। তাদের মধ্যে দুই জন জয় পেয়েছেন, বাকি দুই জন জয় না পেলেও আগের চেয়ে ভালো করেছেন। আরো একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

bangladesh us flag 1বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা

বিজয়ী দুই জন হলেন- শেখ রহমান, তিনি জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে (ডিস্ট্রিক্ট-৫) দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন। আবুল বি খান নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে চতুর্থ মেয়াদের জন্য বিজয়ী হয়েছেন।

ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী শেখ রহমানের বিপরীতে রিপাবলিকান দলের কোনো প্রার্থী ছিলেন না। তার পরও নির্বাচনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে জর্জিয়া নির্বাচন বোর্ড।

কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান শেখ রহমান বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবার সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছি। এটি বিরল এক আনন্দের ব্যাপার। আমি এই সুযোগকে দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব পালনে কাজে লাগাতে চাই।

shekh rahman abul khan nina ahmedশেখ রহমান, আবুল খান ও নীনা আহমেদ

আবুল বি খান রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে সেখানকার বোর্ড অব ইলেকশন। এলাকাটিতে দক্ষিণ এশিয়ানদের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে, তার পরও বাংলাদেশি হিসেবে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পান আবুল খান।

পিরোজপুরের কৃতি সন্তান আবুল খান বলেন, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। অবদান রাখবো যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবং প্রিয় মাতৃভূমির কল্যাণেও।

এ ছাড়া পেনসিলভানিয়ার অডিটর জেনারেল পদে নীনা আহমেদ জয়ের পথে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। এ স্টেটের রাজধানী ফিলাডেলফিয়ার ডেপুটি মেয়র ছিলেন তিনি। এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার।

us electionমার্কিন ভোটগ্রহণ ব্যবস্থার একটি দৃশ্য

টেক্সাসে কংগ্রেশনালে (ডিস্ট্রিক্ট-৩১) ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডোনা ইমাম অল্পের জন্য জয়ের দেখা পাননি। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯৪ ভোট। ডোনার বিপরীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী জন কার্টার। রিপাবলিকান এলাকা হিসেবে পরিচিত এলাকাটিতে এই প্রথমবারের মতো দলটির কোনো প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন ডোনা।