আপনি পড়ছেন

কাঠের ওপর বসে কিংবা ছোট্ট প্লাস্টিকের নৌকায় চড়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন বাংলাদেশিরা। জীবনের মায়া সম্পূর্ণরূপে তুচ্ছ করে তারা ইউরোপের মাটিতে পা রাখতে চান। পরিসংখ্যান বলছে, এমন ঝুঁকি নেয়ার ক্ষেত্রে সবার ওপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বিষয়টি সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

sea europe

সম্প্রতি ইউরোপভিত্তিক সুপরিচিত জরিপ সংস্থা স্ট্যাটিস্তা এ ব্যাপারে একটি পরিসখ্যান প্রকাশ করেছে। সেখানে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নানা রকম তথ্য উঠে এসেছে। এই ৫ মাসে ১৫ হাজার তরুণ-যুবক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছেছেন।

তবে ঠিক কত মানুষ এমন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে মাতৃভূমি ছেড়েছেন, তার কোনো হিসেব উঠে আসেনি জরিপে। সেই হিসেব করা হয়তো সম্ভবও নয়। কারণ উত্তাল সমুদ্রে অভিবাসন প্রত্যাশী এসব হতভাগা মানুষের সলিল-সমাধি হওয়ার কথা গণমাধ্যমে উঠে আসে নিয়মিত বিরতিতেই। আবার অনেক খবর হয়তো গণমাধ্যমেও উঠে আসে না।

refugee transfer

যারা তীরে পৌঁছাতে পারেন, তারাই কেবল উঠে এসেছেন পরিসংখ্যানে। গত ৫ মাসে ইতালি পৌঁছানো এমন ১৫ হাজার তরুণ-যুবকের মধ্যে ২ হাজার ৬০৮ জনই বাংলাদেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তিউনিশিয়া, গত ৫ মাসে দেশটির ২ হাজার ১১৩ জন ইতালি পৌঁছেছেন। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইভোরিকোস্ট।

পরিসংখ্যান বলছে, এসব অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর জন্য ইউরোপ মানেই ইতালি। পছন্দের তালিকার শীর্ষে তো বটেই, অনেকে ইতালিতে কিছুদিন থিতু হয়ে তবেই ইউরোপের অন্য দেশে পাড়ি জমান। এছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী আছেন অনেকেই।