আপনি পড়ছেন

অবিশ্বাস্য দ্রুততায় পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। শেষ প্রদেশ হিসেবে গতকাল ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর সেখানকার কারাগারের দরজা খুলে দেয় তারা। তাতে অন্যান্য বন্দির সাথে তিন বাংলাদেশিও বেরিয়ে যায় কারাগার থেকে। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

jail kabul

আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে আফগানিস্তানের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি সংকটে পড়েছে কিংবা হতাহত হয়েছে-এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তিন বাংলাদেশি কারাগার থেকে বেরিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া এই তিন বাংলাদেশি হলেন- খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের কাওসার সুলতানা এবং ফেনীর ফুলগাজীর উবাইদুল্লাহ হারুন। দূতাবাস তাদেরকে দেশে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম।

taliban in kabul 1কাবুলের দৃশ্য

তিনি বলেন, সেখানে বাংলাদেশের আর কোনো নাগরিক থেকে থাকলে তাদের তথ্য দিতে আফগান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমন কেউ থাকলে যেন নিজে থেকেই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এজন্য দুটি হটলাইন খোলা হয়েছে +৯৯৮৯৭৪৪০২২০১ ও +৯৯৮৯০৩২৭৫১৫২।

এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ না করলেও ইতোমধ্যেই তালেবানরা দেশটিকে ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানী কাবুলের অবস্থা থমথমে। এ অবস্থায় সেখানকার দূতাবাসে থাকা নিজেদের সব কর্মীকে বিমানে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

এর মধ্য দিয়ে দুই দশক ছড়ি ঘোরানোর পর শূন্য হাতে সেখান থেকে ফিরে যেতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর বেজায় চটেছেন তারই পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, বাইডেনের কারণেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। আমি ক্ষমতায় থাকলে সফলতার সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার করতাম।

ট্রাম্পের আমলেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তবে বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার পর থেকেই তালেবানরা একের পর এক এলাকা দখলে নিতে থাকে। সেসব দেখেও বাইডেন তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি।