শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে ‘কবর-থেরাপি’

বর্তমান সময়ে এসে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপের শেষ নেই। আজ এই পরীক্ষাতো কাল সেই পরীক্ষা। এছাড়াও পরিবারের প্রত্যাশার চাপ, মানসিক আর চাকরির তারণায় হতাশায় ভোগেন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষার্থীদের এমন চাপ কমাপে নেদারল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রেভ থেরাপি বা কবর থেরাপি। এতে নাকি অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন।

গ্রেভ থেরাপি বা কবর থেরাপি নিচ্ছেন এক শিক্ষার্থী

নেদারল্যান্ডসের নিজমেগেন শহরে র‍্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এই অভিনব পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন। চাপ কমাতে গ্রেভ থেরাপি বা কবরে শুয়ে থাকার পরামর্শ দিয়ে সফল হচ্ছেন তারা।

র‍্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে গ্রেভ থেরাপি বা কবরে শুয়ে থাকতে বলা হয়। এই পদ্ধতিতে কবরের মতো একটি বড় গর্ত থাকে। সেখানে হতাশাগ্রস্থকে শুয়ে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটেও সবিস্তারে এমন লেখা হয়েছে। কবরের মতো জায়গায়টিকে পিউরিফিকেশন গ্রেভ বা শুদ্ধিকরণ কবর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এই কবরে দীর্ঘসময় শুয়ে থাকতে পারেন। এখানে শুয়ে শুয়ে জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে শর্ত হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কেবল একটি মাদুর আর একটি বালিশ নিয়ে যেতে পারবেন। সঙ্গে নেয়া যাবে না কোনো মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত জিনিস।

ওয়েবসাইটে কবরের একটি ভিডিওতে এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা দেয়া হয়েছে। মূলত স্থির চিত্র দিয়ে ভিডিওটি বানানো হয়েছে। ভিডিওতে কবর খননের দৃশ্য দেখানো হয়। কবরটি তৈরির পর ভেতরে একজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির চোখ দিয়ে দেখানো হয়েছে, কবর থেকে কেমন দেখাবে বাইরের পৃথিবীটা।