কবর থেকে বের হচ্ছে সুগন্ধি। আর তা পরখ করতে মানুষের ভিড় জমে যায়। খবরের সত্যতাও পান তারা। এক দুবার নয়, এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ওই কবর থেকে সুগন্ধি বের হতে দেখলেন স্থানীয়রা।
কবরের সুগন্ধি ‘নিতে’ মানুষের ভিড়!
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দারুল উলূম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। সেখানে থাকা আলেম ও রাজনীতিবিদ মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর থেকে এই সুগন্ধি ছড়িয়েছে বলে দাবি করছেন তার অনুসারীরা।
জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে ওই কবর থেকে সুগন্ধি ছড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর শোনার পর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ভিড় জমে যায়। অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকেও সেখানে আসেন। তারা জানিয়েছেন, কবর থেকে সত্যিই সুগন্ধি আসছে।
কবরের সুগন্ধি ‘নিতে’ মানুষের ভিড়!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরে অবস্থিত দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রয়েছে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর। ১৯৭১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে এ পর্যন্ত ওই কবর থেকে চার বার সুগন্ধ বেরিয়েছে। এটিকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে মনে করেন ওই এলাকার জনসাধারণ।
ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী জানান, মাদ্রাসার ছাত্ররা বুধবার মাগরিবের নামাজের পর কবর জিয়ারতে গেলে সুগন্ধ অনুভব করেন। খবর শোনার পর তারাও সেখানে যান এবং এর বাস্তব প্রমাণ পান।
জানা যায়, এ নিয়ে ওই আলেমের কবর থেকে চতুর্থবারের মতো সুগন্ধ বের হলো জানিয়ে তিনি বলেন, মৃত্যুর পর দাফনের দিন, এর তিন মাস পর এবং ২০১২ সালেও একবার এই কবর থেকে সুগন্ধ বের হয়েছে। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।
জানা যায়, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ছিলেন আল্লামা মুশাহিদ আহমদ বায়ামপুরী। ভারতীয় উপমহাদেশে হাদিস বিশারদ হিসেবে তার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। তিনি ওই মাদ্রাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস ছিলেন।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাসহ ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন এই আলেম। তিনি ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (এমএনএ) সদস্য নির্বাচিত হন। আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার বেশ কিছু গ্রন্থ মূল্যবান রয়েছে।