আপনি পড়ছেন

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য কিন্তু পশু জবেহ করে রক্ত ঝরানো নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট বলেছেন, ‘তোমাদের কোরবানির পশুর রক্ত-মাংস আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। আল্লাহর কাছে পৌঁছে তোমাদের হৃদয়ে প্রেমমাখা অনুভূতি। (সূরা হজ, আয়াত : ৩৭)। তবুও শরিয়ত প্রতিকী পশু কোরবানির বিধান দিয়েছে। যেন বনের পশুর দেখাদেখি মনের পশুর গলায়ও মানুষ ছুরি চালিয়ে ভেতরে বাইরে একজন নিখাদ ভালো মানুষ হয়ে ওঠতে পারেন।

qurbani

পশু কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে শরিয়তের দাবি হলো নিখুঁত ও নির্দিষ্ট গুণ সম্পন্ন পশু হওয়া চাই। এজন্য কোরবানির পশু সম্পর্কে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মাসায়ালা জানা থাকলে সুবিধা হবে।

১. উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানি করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দিয়ে কোরবানি করা জায়েয নয়।

২. যেসব পশু কোরবানি করা জায়েয সেগুলোর পুরুষ-নারী দুটো দিয়েই কোরবানি করা বৈধ।

৩. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দিয়েও কোরবানি করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে। তবে ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দিয়ে কোরবানি জায়েয হবে না।

৪. কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। অস্বাস্থ্যকর পশু কিংবা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান মেশানো পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েয নয়। এ হিসেবে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশু দিয়ে কোরবানি করা উচিত নয়। কারণ মোটা করার জন্য পশুর দেহে পুশ করা ইনজেকশন চিকিৎসকদের মতে মানব দেহে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।

- ফতোয়ারে কাজিখান, ৩য় খণ্ড, ৩৪৮ পৃষ্ঠা এবং বাদায়েউস সানায়ে, ৪র্থ খন্ড, ২০৫ ও ২০৬ পৃষ্ঠা।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর