আপনি পড়ছেন

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের ঈদুল ফিতরের নামাজ ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ। ভারতে চতুর্থ দফায় ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের নামাজ পড়ার বিধান সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির ফতোয়া বিভাগে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে ঘরে ঈদের নামাজ পড়ার আহ্বান জানান ফতোয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।

debond madradhaদারুল উলুম দেওবন্দ

ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত দেওবন্দ মাদরাসার ফতোয়া বোর্ডের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দায়িত্বরত প্রবীণ শিক্ষকরা কোরআন-সুন্নাহর আলোকে গবেষণা করে জানিয়েছেন, মহামারি করোনার কারণে যেমন জুমার নামাজের জামাত বাদ দিয়ে ঘরে পড়ার বিধান জারি করা হয়েছে, তেমনি ঈদের নামাজও ময়দানে বা মসজিদে না গিয়ে ঘরে পড়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তারা।

গবেষকরা বলেছেন, জুমা এবং ঈদের নামাজের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ঈদের নামাজে খুতবা পরে পড়তে হয়, আর জুমার নামাজের ক্ষেত্রে আগে। তাছাড়া ঈদের নামাজ ওয়াজিব, জুমার নামাজ ফরজ। জুমার জন্য জামাত শর্ত, ঈদের নামাজের জন্যও জামাত শর্ত।

india eid car attack

করোনাভাইরাসের কারণে যেহেতু জুমার নামাজ সাময়িকভাবে জামাতে না পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে, একইভাবে মানুষের জীবনের সুরক্ষার কথা ভেবে ঈদের নামাজের জামাতও পরিহার করা যাবে। এই ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি, সিনিয়র শিক্ষক মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদি, মুফতি মাহমুদ হাসান বুলন্দশহরি, মুফতি যাইনুল ইসলাম, মুফতি ওয়াক্কার আলি এবং মুফতি নোমান সিতাপুরী।

প্রসঙ্গত, মসজিদে গিয়ে জামাতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের বিষয়ে ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর