আপনি পড়ছেন

করোনায় বিপর্যস্ত পৃথিবীতে আজ মানুষ যেন মানবিক দায়িত্ববোধ হারাতে বসেছে। ধর্মীয় দায়-দায়িত্বও বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবজ্ঞা ও উপেক্ষার পর্যায়ে চলে এসেছে। করোনা একটি সংক্রামক ব্যাধি, ব্যাপক বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা’র বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবোঝি’র পরিপ্রেক্ষিতে করোনা আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তিদের বিষয়ে ধর্মীয় দায়িত্ব চরমভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে। অথচ অসুস্থ মানুষের সেবা পাওয়া মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।

corona 1

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলল্লাহ (সা.) একজন মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের সাতটি অধিকারের কথা বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হলো, কোনো মুমিন অসুস্থ হলে তার সেবা করা। বুখারি, হাদীস নম্বর ১০।

বর্তমান সময়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি অসহায়। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিন-মুসলমানের বিপদে পাশে দাঁড়াবেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তার পাশে দাঁড়াবেন। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ৪৯৪৬।

তবে করোনার মহামারি বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। সে কর্তব্যে অবহেলা করলে করোনা ছড়িয়ে দেয়ার গোনাহ আমাদের আমলনামায় লেখা হবে।
আর আমার কারণে কেউ মারা গেলে আমি খুনি হবো। যদি অসচেতনতার কারণে আমিই মারা যাই তাহলে তা আত্মহত্যার শামিল হবে।

তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে করোনা রোগীর পাশে দাঁড়ানো, তাকে সাহস জোগানে এবং সে মারা গেলে তার দাফন-কাফন ও জানাজার ব্যবস্থা করা আমাদের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।

লেখক : পেশ ইমাম রাজশাহী কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ, রাজশাহী।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর