আপনি পড়ছেন

ইসলামী শরিয়ত মতে কোরবানি করা ওয়াজিব। শর্ত হলো ব্যক্তিকে সাহেবে নিসাব হওয়া। অর্থাৎ, কোরবানির দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় সব ব্যয় বাদ দিয়ে আজকের বাজারে নগদ ৫০ হাজার (প্রায়) টাকা হাতে থাকা। দেখা যায় একই পরিবারে বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী সাহেবে নিসাব হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এক পরিবারের জন্য কি একটি কোরবানি যথেষ্ট হবে নাকি প্রত্যেক সাহেবে নিসাবকে আলাদা করে কোরবানি দিতে হবে?

cow

কোরবানির নিসাব অনেকটা জাকাতের নিসাবের মতই। পার্থক্য হলো জাকাতের ক্ষেত্রে সম্পদ এক বছর হাতে থাকতে হয়, আর কোরবানির জন্য শর্ত হলো, জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যেকোনো সময় ওই পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হলেই ব্যক্তির ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

একই পরিবারে যদি একাধিক সাহেবে নিসাব থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে কোরবানি করা ওয়াজিব। একজনের কোরবানি বাকি সামর্থ্যবানদের জন্য যথেষ্ট হবে না।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারের সবাই মিলে অল্প বিস্তর টাকা দিয়ে (এক নাম) কোরবানি দিয়ে থাকে। সেখানে কার কার নামে কোরবানি হবে এবং তা কীভাবে ভাগ বন্টন হবে এসব কিছু স্পষ্ট করে বলা থাকে না। এটা শুদ্ধ কোরবানির পক্ষে বড় বাঁধা।

qurbani 2

নিয়ম হলো, পরিবারের সব সাহেবে নিসাবের জন্য আলাদা আলাদা সুনির্দিষ্টভাবে কোরবানি দিতে হবে। একজনের কোরাবানি পরিবারের অন্য সদস্যের জন্য যথেষ্ট মনে করলে তা ভুল হবে। এবং অন্যান্য সামর্থ্যবান সদস্যদের জন্য কোরবানি না করার গোনাহ হবে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, পাকিস্তানের বিখ্যাত আলেম মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানাভী (রহ.) এর অনবদ্য গ্রন্থ আপকে সাওয়াল কা জওয়াব’র কোরবানি অধ্যায়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর