আপনি পড়ছেন

বিপদ-মুসিবত জীবনেরই অংশ। বিপদ কেনো আসে এ সম্পর্কে অনেক দার্শনিকই অনেক মন্তব্য করেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোরআনের কথা হলো, আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষার জন্য বিপদ-মুসিবত দিয়ে থাকেন। মানুষের ধৈর্য এবং আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাসের পরীক্ষাও বিপদের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।

dowa

বিপদে পড়লে মানুষ জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়। কী করবে, কী করবে না- বুঝতে পারে না। সাধারণ কাজও বিপদগ্রস্ত মানুষ উল্টাপাল্টা করে ফেলে। এমনও হয়, দুশ্চিন্তা-হতাশার কারণে এমন এমন কাজ করে বসে যাতে করে বিপদ আরো বেড়ে যায়।

বিপদে হতাশ না হয়ে ধৈর্যের শিক্ষা দেয় কোরআন। ধৈর্য ধরার অনেকগুলো উপায় আছে। মানবতার শিক্ষক রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে বিপদ মোকাবেলা করতে হয়।

হজরত আসমা ইবনে উমাইস (রা.) -কে একদিন রাসুল (সা.) বলেন, হে আসমা! বিপদে পড়লে ঘাবড়ে যেও না। নিজের ওপর থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলো না।

আসমা (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! বিপদের সময় সবারই তো মাথা ঠিক থাকে না।

রাসুল (সা.) বললেন, তুমি যখন বিপদে পড়বে তখন এই দোয়া পড়,

dowa 1

‘আল্লাহু আল্লাহু রব্বি লা উশরিকু বিহি শায়আ।

অর্থ: হে আমার আল্লাহ! হে আমার আল্লাহ! আমি কোনো কিছুকে তোমার সঙ্গে শরিক করছি না।’ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১৫২৫।

বিপদে পড়লেই মানুষের মন দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্বল-নড়বড়ে মন শয়তানের সহজ স্বীকার হয়। শয়তান মানুষকে শিরকের পথে টেনে নিয়ে যায় অল্প পরিশ্রমেই। এ কারণে রাসুল (সা.) আসমা (রা.) -কে বলেছেন, যত বড় বিপদেই পড়ো না কেনো, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করার চিন্তাও যেনো মনে আসে। বরং এ বিশ্বাস হৃদয়ে জাগিয়ে রাখবে যে, আল্লাহ বিপদ দিয়েছেন, তিনি ছাড়া বিপদমুক্ত করার আর কোনো শক্তি নেই।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর