আপনি পড়ছেন

বিবাহের মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষের মাঝে স্বীকৃত বন্ধন তৈরি হয়। সভ্যতার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পরিবারই মানুষের প্রধানতম আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশ্চাত্য সভ্যতায় যদিও পরিবার প্রথা ভেঙে পড়েছে, তবে ইসলামী দুনিয়ায় আজও পরিবারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন মুসলমানরা।

islamic icon

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিয়ের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, আজ থেকে ১০২ বছর আগে মাওলানা ইসমাইল হোসাইন সিরাজী ‘মাসিক আল এসলাম’ পত্রিকায় সংক্ষেপে চমৎকারভাবে সে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বিবাহ নিয়ে যারা সংক্ষেপে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী জানতে চান তাদের জন্য ১৩২৬ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের আল এসলাম থেকে ওই নীতিমালাগুলো তুলে ধরা হলো।

১. ভালো বংশ দেখে বিয়ে করা।

২. বংশগত জটিল রোগ আছে, এমন পরিবারে বিয়ে না করা।

৩. জটিল রোগে আক্রান্ত কিংবা চিকিৎসক বলে দিয়েছে বেশি দিন বাঁচবে না, এমন পাত্র-পাত্রী বিয়ে না করা।

৪. নিজের বংশের মধ্যে বিয়ে না করাই ভালো।

৫. একই বংশে বা পরিবারে বারবার বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন না করা।

৬. যে পরিবারে নারীদের সন্তান মারা যায়- সে পরিবারে বিয়ে না করা।

৭. পাত্র-পাত্রীর রুচি-স্বভাব-আচরণ-সংস্কৃতি পরস্পর বিপরীত হলে বিয়ে না করাই ভালো।

৮. কেবল পাত্রীর সৌন্দর্য বিচার করলেই হবে না, পাত্র দেখতে খারাপ হলেও মেয়ে ওই পাত্রকে প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

৯. অবশ্যই বাল্যবিয়ে করা উচিত নয়। বাল্যবিয়ের মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যু বেশি ঘটে। এ ধরণের মৃত্যু এড়াতে বাল্য বিয়ে হারাম।

ismail hossain

১০. পাত্রপাত্রীর বয়সের ব্যবধান বড়জোর ৬-৭ এর বেশি না হওয়াই ভালো।

১১. বিপত্নীকের সঙ্গে বিধবার এবং কুমারের সঙ্গে কুমারীর বিয়ে হওয়া ভালো।

১২. প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে নিজের পছন্দমতো বিয়ে করা ইসলাম স্বীকৃত।

১৩. বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী দুজন দুজনকে ভালোভাবে দেখে এবং জেনে নেওয়া চাই।

১৪. পাত্রী অসম্মত থাকলে জোর করে বিয়ে দেওয়া হারাম।

১৫. স্বাবলম্বী না হয়ে পুরুষের বিয়ে করা উচিত নয়।

১৬. স্ত্রী বন্ধ্যা বা চিররুগ্ন হলেই কেবল দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে।

১৭. ছাত্রজীবনে বিয়ে করা নিষেধ মনে করি।

১৮. ছেলেদের ২৩-২৪ এবং মেয়েদের ১৫-১৬ বছরের আগে বিয়ে করা উচিত নয়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর