ভূমিকম্পন হঠাৎ করেই আসে। হঠাৎ করেই উলটপালট করে দিয়ে যায় সব। নিজেদের সাজানো গোছানো শহরটাকে মুহুর্তেই ধব্বংস্তুপে রুপান্তরিত করে দিয়ে যায়। মনে হয়, এ যেন মানুষের উপর প্রকৃতির কঠিন প্রতিশোধ! যে প্রতিশোধ ঠেকানোর কোন উপায় মানুষের জানা নেই। তাই বলে কী মানুষ চুপ করে বসে থাকবে? সাবধানের মার নেই বলে একটা কথা আছে। তাই মানুষেরও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই সাবধানতার ফলে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ভূমিকম্পের ছোঁবল থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সম্ভব হতে পারে। ভূমিকম্পের মাত্রা যেমনই হোক ভূমিকম্প-পূর্ব এই সাবধানতা নিজেদের জন্য সুফলই বয়ে আনবে। 

earth quake

জীবিকার জন্য মানুষ এক স্থানে স্থির থাকে না। কখনো নিজের বাসায় কখনো বা অফিসে। দিনের বেশি সময়টা আমরা যেখানে কাটাই  সেখানকার নিরাপদ স্থানটি সম্পর্কে  আমাদের খোঁজ রাখতে হবে। জেনে নিতে হবে কিভাবে আমরা নিরাপদ স্থানটিতে পৌছাতে পারি। রাস্তা সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান আগে থেকেই রাখতে হবে। নিজের বাসাবাড়ির যে জিনিষগুলো অত্যাধিক ভারী জিনিসপত্রের আওতায় পড়ে সেগুলোকে কখনোই উঁচুতে রাখা উচিত নয়। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা বেশি থাকে। 

বাসাবাড়িতে নিজেদের প্রয়োজনের জন্য অনেক ভারী ভারী জিনিস আমাদের ব্যবহার করতে হয়। এর মধ্যে ফ্রিজ, আলমারি, জামাকাপড় রাখার ওয়ারড্রোব ইত্যাদি, এগুলোকে শক্ত কোন আংটা কিংবা রশি দিয়ে ভাল করে বেঁধে রাখুন যেন ভূমিকম্পের ঝাকুনীতে এগুলো পরে গিয়ে কোনরুপ ক্ষয়ক্ষতির কারণ না হয়। বাসাবাড়ি জন্য একটা বীমা করে রাখতে পারেন বিপদে এটি কাজে লাগবে।   

রাতে ঘুমানোর সময় হাতের কাছেই আলো জ্বালানোর কিছু রাখা উচিত। এই যেমন টর্চ লাইট কিংবা দেয়াশলাই। বাসায় হেলমেট কিনে রাখুন। ভূমিকম্পের সময় নিজেকে নিরাপদ রাখতে এটি বেশ কাজে দেবে।

ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নিরাপদ দূরত্বে পৌছাতে গেলে অধিকাংশ সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এর একমাত্র কারণ তাড়াহুড়ো। তাই স্কুল -কলেজ, হাসপাতাল এবং বেশি জনসংখক মানুষের কাজের ক্ষেত্র বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মহড়ার ব্যবস্থা করা উচিত। যেন প্রয়োজনের সময় সব এলোমেলো না হয়ে যায়। 

ভূমিকম্পের সময় নিজেকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য শক্ত টেবিল বা বালিশের নিচে মাথা দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকুন। অব্শ্যই যেখানে ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে সেখানে আশ্রয় নিবেন না। যে দিকের  দেয়াল বহির্মূখী হয়েছে সেদিকে আশ্রয় নেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। বাইরে বের হয়ে যাওয়াটা হবে আরো বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

বাইরে যেখানে বড় গাছ এবং বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি থাকে সে দিকটায় আশ্রয় নেয়া থেকে বিরত থাকুন। চলন্ত গাড়িতে থাকলে ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলুন। এবং গাড়ির ভিতরই অবস্থান করতে থাকুন । মনে রাখা ভাল, প্রত্যেক বড় ভূমিকম্পের পর 'আফটার শক' নামের কয়েকটি ছোট আকারের ভূমিকম্প হতে পারে। তাই বড় ভূমিকম্প হওয়ার পরও নিজেকে কিছু সময় নিরাপদে রাখুন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

ইতিহাসের এই দিনে ভূমিকম্প

গুগল খোঁজে দেবে ভূমিকম্পে নিখোঁজ ব্যক্তিকে 

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.