বৈবাহিক জীবনে সুখী হওয়ার সাত ‘মন্ত্র’

বিয়ে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনে। দুজন মানুষের সম্পর্কের ভিত গড়ে দেয়ার পাশাপাশি তাদের নতুন পরিচয়ও তৈরি করে দেয়। তাদের জীবনযাপন, আর্থিক লেনদেন, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশেও আসে পরিবর্তন। অনেক সময় নানা ছোটখাটো কারণে এই বৈবাহিক জীবনে অশান্তি চলে আসে, যা ভাঙনের পর্যায় পর্যন্ত চলে যায়। তাই বৈবাহিক জীবনকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। চলুন, জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

প্রতীকী ছবি

আমি তোমাকে ভালোবাসি

আমি তোমাকে ভালোবাসি শব্দ তিনটির ক্ষমতা অনেক। শব্দগুলোকে কখনো ছোট করে দেখবেন না। ভালোবাসার মানুষকে মন খুলে ভালোবাসার কথা জানাতে কোন বাহানার প্রয়োজন হয় না। তবুও বিবাহিত মানুষ ধীরে ধীরে এই তিনটি শব্দ ব্যবহার করতে ভুলে যান। মনে করে দেখেন তো, শেষ কবে নিজের সঙ্গীকে বলেছেন আমি তোমাকে ভালোবাসি।

তোমাকে সুন্দর/ হ্যান্ডসাম লাগছে

আপনি যখন আপনার সঙ্গীর প্রশংসা করবেন তখন আপনার সঙ্গীর প্রতি আপনার আকর্ষণ ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়। তবে কর্মব্যস্ত এই পৃথিবীতে অফিস আর ঘরের কাজ মেটাতেই শ্বাস নেয়ার সময় পাওয় যায় না। ফলে সঙ্গীর প্রশংসা করার সময় হয়ে উঠে না। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার করা প্রশংসা আপনার সঙ্গীকে করবে আত্মবিশ্বাসী ও চাঙ্গা। আপনাদের ভালোবাসা হবে দৃঢ়।

প্রতীকী ছবি

তোমার পাশে আমি সব সময় আছি

ব্যস্ততার ভিড়ে আমরা শারীরিকভাবে কাছাকাছি থাকলেও মানসিক দূরত্ব প্রায়ই বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে একাকীত্ব অনুভব করার প্রবণতা এখন একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার সঙ্গীকে কখনোই নিজেকে ‘একা’ ভাবতে দেবেন না। তাকে সব সময় বলবেন আমি তোমার পাশে আছি।

চিন্তা করো না, আমি দেখছি ব্যাপারটা

আমরা সব সময়ই পরস্পরের কেয়ার বা যত্ন নিই। কিন্তু তা ভাষায় প্রকাশ করতে ভুলে যাই। কিন্তু আপনি যখন তা ভাষায় প্রকাশ করবেন তখন আপনার সঙ্গী নির্দ্বিধায় আশ্বস্ত হবেন।

তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে!

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো একঘেঁয়েমি। জীবন কিছু নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই একঘেঁয়েমি দূর করতে সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করবেন। অফিস থেকে ফেরার পথে সঙ্গীর জন্য নিতে পারেন কোন সস্তা কিংবা দামী গিফট। নিয়ে যেতে পারেন পছন্দের ফুল। তাছাড়া রাতে বাইরে কোথাও খেয়ে আসতে পারেন। আর ‘তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে’ এটা বলতে কিন্তু ভুলবেন না।

বাইরে ঘুরতে বা খেতে যাওয়া

বিবাহিত জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটি হলো- বিয়ের পর আমরা বাইরে ঘুরতে যাওয়া বা খেতে যাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেই। এই ভুল কখনোই করবেন না। সঙ্গীকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে সম্পর্ক যেমন চাঙ্গা হয়, তেমনি ভালোবাসাও বৃদ্ধি পায়। মাসে একবার হলেও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হবেন।

ধন্যবাদ

শেষ কবে আপনার পার্টনারকে ধন্যবাদ বলেছেন? মনে করুন তো একবার। ধন্যবাদ বলার জন্য কারণ লাগে না, যেকোনো কাজেই তা দেয়া যায়। অফিসে নামিয়ে দেয়া, দোকান থেকে কিছু কিনে আনা কিংবা আপনার প্রিয় খাবার রান্না করার জন্যও ধন্যবাদ বলা যায়। তাছাড়া আপনার জীবনসঙ্গী হওয়ার জন্য কখনো তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন?