করোনাকালে নতুন সংসারীদের জন্য ৫ পরামর্শ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা এখনো কমেনি। প্রতিদিনই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের জনগণ ঝুঁকি মাথায় নিয়েই কাজে নেমে পড়েছে। উন্নত দেশগুলোতেও শিথিল হয়ে পড়েছে লকডাউন। জীবন ও জীবিকার মতই মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব-আনন্দ। তাই করোনাকালে থেমে নেই বিয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও। শুরুর দিকে অনেক বিয়ে পিছিয়ে গেলেও সম্প্রতি অনেকেই গড়ছেন নতুন সংসার। করোনাকালে নতুন সংসারীদের জন্য থাকছে ৫ পরামর্শ।

১. আপাতত হানিমুন হচ্ছে না

করোনা পরিস্থিতির কারণে আপাতত হানিমুন হচ্ছে না। তাই হানিমুনের প্ল্যান আপাতত বাদ রেখেই এগুতে হবে নতুন সংসারের চাকা। হানিমুন না হলেও আশেপাশের দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরি, স্বাস্থ্য-সচেতনতা মেনে বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়া যেতে পারে। একদম ঘরবন্দি থাকা নতুন-পুরনো সব দম্পতির জন্যই খুব বাজে একটি ব্যাপার।

২. রোমান্স যেন না থামে

করোনাকালে দূরে কোথাও যাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে নতুন দম্পতিরা লকডাউনের একঘেঁয়ামি কাটাতে মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে দুপুর বা রাতের খাবার খেতে পারেন। বিকেলে একসঙ্গে হাঁটতে পারেন। রাতে ছাদে হাঁট হাঁটতে চাঁদ দেখেও একঘেয়ামি দূর করতে পারেন।

৩. মানিয়ে চলুন আর ক’টা দিন

করোনাকালে বিয়ে করার ফলে এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি আপনি হতে পারেন, স্বাভাবিক সময়ে যেসব পরিস্থিতি দেখতে হতো না। যেমন, করোনার কারণে দীর্ঘ লকডাউনে একান্নবর্তী পরিবারগুলোতে মানুষ বেশি থাকা, আবার একক পরিবারে মানুষ না থাকা- দুটোই সমস্যা। একান্নবর্তী পরিবারের সব দায়িত্ব হঠাৎ করে নতুন সংসারীদের কাঁধে এসে পড়তে পারে। এসব সমস্যা সাময়িক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

৪. স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেতে পারেন বেড়াতে

নতুন দম্পতিদের জন্য লকডাউন বেশি অসুবিধার কারণ হয়ে উঠতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনভ্যস্ত দু’টি মানুষ দীর্ঘ সময় লকডাউনে থাকাটা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, নিজেকে বন্দী না রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আত্বীয়-স্বজনদের বাসায় বেড়ানো যেতে পারে। প্রতিবেশীদেরও খোঁজ-খবর করুন। এতে মন ভালো থাকবে।

৫. বিষণ্ণতার সেরা ওষুধ মেডিটেশন

সবার জন্যই মেডিটেশন জরুরি। দীর্ঘ লকডাউনের সময়েও নবদম্পতিরা যেন মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে পারেন- এ জন্য প্রতিদিন ভোরে মেডিটেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন মনো ডাক্তাররা। অবসাদ-বিষণ্ণতা এবং একঘেঁয়ামি ঝেড়ে ফেলতে মেডিটেশনের কার্যকরিতা আজ মেডিকেল সাইন্সেও প্রমাণীত সত্য। তাই নিয়মিত মেডিটেশন করুন, ফুরফুরে থাকুন।