অনেকের পক্ষে সম্ভব। কিন্তু সবার পক্ষে কি সম্ভব বা সব সময় কি সম্ভব? বলা হচ্ছিল রাগ নিয়ন্ত্রণের কথা। আবার অনেকে বলে রাগ না থাকলে মানুষ হয় নাকি। রাগ না থাকলে, জেদ তৈরি হয় না। আর জেদ না থাকলে তো কিছুই করা সম্ভব না।

anger 1রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো বিকল্প নেই

ভালো কথা, রাগ থাকা ভালো। রাগের প্রকাশ ভালো। রাগ থেকে জেদ হওয়াও ভালো। কিন্তু কেউ কেউ আছেন, যারা কথায় কথায় রেগে যান, সবার সাথেই রেগে যান, সব সময়েই রেগে যান। এটা কি ভালো? যিনি এভাবে রাগ করেন, তিনিও নিশ্চয় বলবেন, ভালো তো না। কিন্তু কী যে করি? রাগ হলে তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কখনো আবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, রাগ চেপে রাখা খুবই কঠিন হয়ে যায়। এর জন্য বিপদেও পড়ি, তবুও পারি না।

আবার অনেকে সেই রাগ না প্রকাশ করার ভিন্ন উপায় বের করে নেন। এমন পরিস্থিতিতে কেউ জোরে কথা বলেন, কেউ কথা বলাই হয়তো বন্ধ করে দেন। আবার কেউবা অন্য কোনো কাজের মাধ্যমে রাগ দেখান।

anger 2রাগের সময় মনে থাকে না ’রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ বাণীটিও

যে সব কারণে সাধারণত বেশি রাগ হয়: সাধারণত ভয়, লজ্জা, বিরক্তির মতো নানা কারণেই রাগ দেখায় মানুষ। এ ছাড়াও ক্ষণে ক্ষণে রেগে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে অন্য আরো কারণও। বিভিন্ন কারণে তৈরি হওয়া মানসিক চাপও রাগের একটি বড় কারণ। মানসিক অবসাদের কারণেও টানা হতাশা, দুঃখ আসতে পারে। এমন অবস্থায় খুব বেশি দিন থাকলে কথায় কথায় রাগ তৈরি হতে পারে।

আবার বাইপোলার ডিজঅর্ডার থাকলে ক্ষণে ক্ষণে মনের ভাবে পরিবর্তন আসে। এমনকি অতিরিক্ত আনন্দের আবহেও অনেক সময়ে ঘিরে ধরে রাগের অনুভূতি। অন্যদিকে অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য শরীরের প্রবেশ করলে অনেক সময়ে হিংস্র ভাব তৈরি হয়। চিন্তাশক্তির উপরে মাদকের প্রভাবের আধিপত্যের কারণেই এমন হয় বলে মন্তব্য করেছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা।

রাগের পরিস্থিতি বুঝা: রাগ তো হয়ই। কিন্তু কী ভাবে বুঝা যাবে কারো মধ্যে রাগ করার প্রবণতা বাড়ছে কি না? মনোবিদরা বলছেন, কথায় কথায় বিরক্ত হওয়া, বেশি করে নেতিবাচক চিন্তা মনে আসা, মাঝেমধ্যেই চেঁচামেচি করা, উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধড়ফড়ের মতো শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া, সাধারণ কোনো ঘটনাতেও কথা বলা বন্ধ করে দেয়া রাগ করার প্রবণতা বৃদ্ধিরই লক্ষণ।

কী ভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়: রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেকেই বড় বড় বিপদের মধ্যে পড়ে যান। কারণ রাগের সময় বলার নয়, এমন অনেক কথাও বলে ফেলেন সবার সামনে। যে আচরণ অপ্রয়োজনীয় বা বিব্রতকর, তা-ও করে ফেলেন। এসব কারণে পরে কিন্তু বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

এজন্য যা করতে হবে, তা হলো- কথা বলার আগে ভেবে দেখতে হবে। কোনো সমস্যা দেখে বিরক্ত না হয়ে, সমাধান খুঁজতে হবে, অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। এগুলো করে যেটাতেই বেশি কাজ হবে সেটা ব্যবহার করে পরবর্তী সময়ে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.