সারা বিশ্বে ইবোলা ভাইরাস এখন মারাত্মক আকার ধারন করেছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কারণে মারা গেছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগগুলির চেয়ে ইবোলা খুব দ্রুত একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও সবারই এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।

ইবোলা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হওয়ার পর অন্তত ২১ দিন কেটে যেতে পারে কোনোরকম রোগের লক্ষণ প্রকাশ হওয়া ছাড়াই। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে অল্প অল্প জ্বর, শরীর ও মাথা ব্যথা হতে পারে। তবে কিছুদিন গেলেই এই জ্বর ও ব্যথার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারন করে। সাথে ডায়রিয়া, মুখে ঘা, ত্বকে দানা ওঠা এবং অতিরিক্ত বমি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। রোগটি যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে তখন শরীরের ভিতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়া লিভার, কিডনি, হৃৎপিণ্ডসহ মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অকেজো করে দিয়ে শেষে মৃত্যু ঘটায়।

সাধারণত শারীরিক তরল জিনিসের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। সেটা রক্ত, বমি, লালা, বীর্য, মল এমনকি ঘামের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কিংবা আক্রান্ত পশু-পাখির কাছাকাছি এলে ইবোলা ভাইরাস শরীরে চলে আসতে পারে। এছাড়া ইবোলা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য কাপড়চোপড়, থালা-বাসন ইত্যাদি থেকেও ইবোলা ছড়াতে পারে।

সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হলো ইবোলা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিস্কার হয় নি। টিকাও না। ইবোলা আক্রান্ত হলে শুধুমাত্র শরীরে প্রকাশ পাওয়া রোগের লক্ষণ ধরে ধরে ঔষধ সেবন করতে হবে। হাত পরিষ্কার রাখতে গরম পানি ও সাবান ব্যবহার করুন। অন্যকে ধরতে গেলেও হাতে গ্লাভস পরুন। নিজের চেহারাও নিজে হাত ধোয়া ছাড়া স্পর্শ করবেন না। মাস্ক পরে ইবোলা আক্রান্তর পাশে চলাফেরা করুন। তবে মনে রাখবেন, ইবোলায় আক্রান্ত ব্যক্তির যে কোনো শরীর নিঃসৃত রস আপনাকে ইবোলা ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। অতএব সাবধান। 

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.