রোগ সারাতে কমলার খোসা

ফলের মধ্যে প্রায় বেশির ভাগ ফলেরই খোসা ফেলে দিতে হয়। কারণ ফলের খোসার কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। এদিক থেকে কমলার খোসা ব্যতিক্রম। কমলার খোসায় আছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি, এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ও এন্টি-ফাঙ্গালের মতো উপাদান, যা কাশি থেকে শুরু করে এজমা, পেটের নানান সমস্যা ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।

ছবি - সংগৃহীত

কমলার খোসায় যে তিতা রস রয়েছে তা কফের সমস্যা দূর করতে সিদ্ধহস্ত। পিত্তের যে কোনো সমস্যাও দূর করে এই কমলার খোসা। নিচের সাদা অংশ বাদ দিয়ে খোসা কুচি কুচি করে কেটে নিন। তারপর চায়ের সাথে মিশিয়ে খান। কফের সমস্যা থাকলে চলে যাবে।

যাদের পেটে দীর্ঘদিনের হজমের সমস্যা আছে, তারা কমলার খোসা খেতে পারেন। পেটের সমস্যা সেরে যাবে। এছাড়া পেটে গ্যাস বা অম্বল হলে কমলার খোসা কার্যকরী। বমি বমি ভাব হলে কমলার খোসার শরণাপন্ন হতে পারেন। ভালো কাজ দেবে।

এজমা বা খুসখুসে কাশির সমস্যা থাকলে কমলার খোসার শুকনো গুঁড়ো খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলেও ভালো উপকার পাবেন।

ছবি - সংগৃহীত

যাদের শরীরে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টরেলের সমস্যা আছে তাদের জন্য কমলার খোসা টনিকের মতো কাজ করে। শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত হলেও সাহায্য নিতে পারেন এই খোসার। কমলার খোসা কোলেস্টরেল দূর করে।

কমলার খোসার আরেকটি কার্যকরী প্রয়োগ হলো অনিদ্রা রোগ দূর করায়। খোসা কাঁটা চামচ বা ধারালো কিছু দিয়ে কেঁচে পানিতে দিয়ে হালকা সেদ্ধ করুন। তারপর সেই কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। অনিদ্রা রোগ দূর হবে।

এছাড়া কমলার খোসায় রয়েছে কোলন ক্যান্সার এবং হাড়ক্ষয় রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এক অদ্ভূত ক্ষমতা।